স্মার্টফোন প্রযুক্তির ইতিহাসে কত কিছুতেই তো নাম লেখল। এবার এ স্মার্টফোন
আপনার মাছ ধরার কাজেও সহযোগিতা করতে চায়। ফ্লোরিডার ঋৎরফধু খধন কোমপানি
সমপ্রতি মাছ ধরার এই অ্যাপ্লিকেশন বাজারে ছেড়েছে। এই
অ্যাপ্লিকেশনটি আই ফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই পাওয়া যাচ্ছে। ডিপার নামের ২.৪ ইঞ্চি ব্যাসের একটি গোলাকার বল আপনাকে সাহায্য করবে স্মার্ট ফিশফাইন্ডার নামের এই অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে মাছ ধরতে।
ধরুন আপনি কোন পুকুর গেলেন মাছ ধরার জন্য আর আপনার সঙ্গে আছে ডিপার নামের গোলাকার
ডিভাইসটি আর আপনার স্মার্ট ফোন অথবা ট্যাবলেটে ইন্সটল করা আছে স্মার্ট ফিশফাইন্ডার। আপনি মাছ ধরার সব আয়োজন সমপন্ন করে ডিপার টাকে ছুড়ে মারুন পানিতে। ভয় পাবেন না, কারণ ডিপারটি বানানো হয়েছে সমপূর্ণ ওয়াটার প্রুফ এবং শক প্রুফ ডিভাইস হিসেবে। ডিপার প্রথমে শব্দ তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে পুকেরের পানির নিচে মাছের অবস্থান নির্ধারণ করবে।
মাছেদের অবস্থানের প্রতিচ্চিত্র ডিপার ডিভাইসটি ব্লু-টুথের সাহায্যে আপনার স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেটে পাঠিয়ে দেবে। এজন্য আপনার স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেটে অবশ্যই স্মার্ট ফিশফাইন্ডার অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল থাকা লাগবে।
এর মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন পুকুরের কোথায় বড়শি ফেললে বেশি মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ডিপার এবং আপনার ফোন এর মধ্যবর্তী দূরত্ব ১৫০ ফুট অথবা ৫০ মিটারের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়, কারণ এই রেঞ্জের দূরত্বে ব্ল-টুথ ভালোভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
অ্যাপ্লিকেশনটি আই ফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই পাওয়া যাচ্ছে। ডিপার নামের ২.৪ ইঞ্চি ব্যাসের একটি গোলাকার বল আপনাকে সাহায্য করবে স্মার্ট ফিশফাইন্ডার নামের এই অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে মাছ ধরতে।
ধরুন আপনি কোন পুকুর গেলেন মাছ ধরার জন্য আর আপনার সঙ্গে আছে ডিপার নামের গোলাকার
ডিভাইসটি আর আপনার স্মার্ট ফোন অথবা ট্যাবলেটে ইন্সটল করা আছে স্মার্ট ফিশফাইন্ডার। আপনি মাছ ধরার সব আয়োজন সমপন্ন করে ডিপার টাকে ছুড়ে মারুন পানিতে। ভয় পাবেন না, কারণ ডিপারটি বানানো হয়েছে সমপূর্ণ ওয়াটার প্রুফ এবং শক প্রুফ ডিভাইস হিসেবে। ডিপার প্রথমে শব্দ তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে পুকেরের পানির নিচে মাছের অবস্থান নির্ধারণ করবে।
মাছেদের অবস্থানের প্রতিচ্চিত্র ডিপার ডিভাইসটি ব্লু-টুথের সাহায্যে আপনার স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেটে পাঠিয়ে দেবে। এজন্য আপনার স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেটে অবশ্যই স্মার্ট ফিশফাইন্ডার অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল থাকা লাগবে।
এর মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন পুকুরের কোথায় বড়শি ফেললে বেশি মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ডিপার এবং আপনার ফোন এর মধ্যবর্তী দূরত্ব ১৫০ ফুট অথবা ৫০ মিটারের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়, কারণ এই রেঞ্জের দূরত্বে ব্ল-টুথ ভালোভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
রোবো-ফ্লাই
বা যান্ত্রিক মাছি বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে রোবটিক্স নিয়ে
গবেষণায় আরো একধাপ এগিয়ে গেছেন তারা। বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, মার্কিন
বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন নতুন এক রোবো-ফ্লাই বা যান্ত্রিক মাছি, যা উড়তে
পারে আসল মাছির মতোই। লিখেছেন সিমু জোয়ারদারসময়ের সাথে সাথে রোবোট বিষয়ক গবেষণা বৈচিত্র ধারণ করছে। সেই বৈচিত্রের কিছু অংশ নিয়ে এই ফিচার।
রোবো-ফ্লাই বা যান্ত্রিক মাছি বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে রোবটিক্স নিয়ে গবেষণায় আরো একধাপ এগিয়ে গেছেন তারা। বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, মার্কিন বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন নতুন এক রোবো-ফ্লাই বা যান্ত্রিক মাছি, যা উড়তে পারে আসল মাছির মতোই।
যান্ত্রিক মাছিটি বানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাদের দলনেতা ড. কেভিন মা দাবি করেছেন, উড়তে সক্ষম রোবটগুলোর মধ্যে তাদের বানানো রোবটটিই সবচেয়ে ছোট।
কার্বন ফাইবার দিয়ে যান্ত্রিক মাছিটি বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রোবো-ফ্লাইয়ের ডানায় ওড়ার শক্তি জোগায় শক্তিশালী 'ইলেকট্রনিক মাসল'। আসল মাছির মতো দ্রুতগতির রোবো-ফ্লাই, সঙ্কীর্ণ জায়গা দিয়ে এঁকেবেঁকে উড়ে যাওয়া বা আক্রমণকারীকে ফাঁকি দেয়ার মতো সবই করতে পারে এটি।
আসল মাছির মতোই প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১২০ বার ডানা ঝাপটাতে পারে রোবো-ফ্লাই। নমনীয় ডানাগুলো বানাতে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন বিশেষ ধরনের 'পিয়েজোইলেকট্রিক' উপাদান। বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেই বার বার সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হয় ওই উপাদানটি। বার বার বিদ্যুৎতরঙ্গ প্রবাহ বন্ধ ও চালু করার মাধ্যমে রোবো-ফ্লাইয়ের ডানা ঝাপটানোর গতি বাড়াতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা।
মাছির মতো পোকাগুলো ঠিক কীভাবে ওড়ে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পেতেই রোবটটি বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর উদ্ধারকাজেও এ রোবো-ফ্লাই ব্যবহার করা যাবে, এমনটাই মনে করছেন তারা।
প্রেমিকার অভাবে যারা নিঃসঙ্গ রাত পার করছেন তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন রোবট নির্মাতারা। মানুষের জন্য রোমান্টিক সহচর হিসেবে জাপানি উদ্ভাবকরা জিমিনিয়ড এফ নামে একটি 'মহিলা' রোবট তৈরি করেছেন যা নাচতে, চক্ষু যোগাযোগ প্রতিক্রিয়া করতে এবং শরীরের ভাষা শনাক্ত করতে পারে।
রোবটটি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল রোবোটিক্স প্রকৌশলী তৈরি করেছেন। জিমিনিয়ড এফ রোবটটি ইউরেশীয় মহিলাদের মতো দেখায়, মেয়েলি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, বাদামি চুল রয়েছে।
এ প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক হিরোসি ইসগুরো বলেন, জাপান সংস্কৃতির সঙ্গে পাশ্চাত্য সমাজের পার্থক্য তুলনা করে জাপানি পুরুষের অনেকেই রোমান্সের কৃত্রিম সংস্করণের সঙ্গে প্রেমে পড়তে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক হিরোসি ইসগুরো আরো বলেন, জিমিনিয়ড এফ তৈরির প্রধান কারণ হলো মানবজাতির দৌড় প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানা।
মানুষের অনুকরণে রোবট তৈরিকে অনেকেই ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে পারেন। এ কারণে এ গবেষক দল জাপানের একটি প্রতিপাদ্য বাক্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তা হলো_ 'আমরা বিশ্বাস করি যে সবকিছুর একটা আত্মা আছে এবং তাই আমরা মানুষের মতো রোবট তৈরি করতে বিব্রতবোধ করি না।'
তিনি আরো বলেন, 'মানুষের একটি অনুলিপি তৈরি করে, সত্যিই আমি মনে করি আমরা মানুষ বুঝতে পারে, সুতরাং আমাদের বোঝা প্রয়োজন মানুষের উপমা কী, মানুষের আচরণ কেমন, মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন।'
মিড আটলান্টিক আঞ্চলিক এফআইআরএসটি রোবোটিক্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে মাউন্ট অলিভ উচ্চ বিদ্যালয় রোবোটিক্স টিম, যারা এমওআরটি হিসেবে পরিচিত। খবর ডেইলি রেকর্ড ডটকম।
জানা গেছে, এ রোবোটিক্স প্রতিযোগিতায় নিউ জার্সির ৩৬টিরও বেশি উচ্চ বিদ্যালয় দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। পরবর্তী প্রতিযোগিতায় নিউ জার্সি ও পেনসিলভানিয়ার ৬ জেলা মিড আটলান্টিক জেলা প্রতিযোগিতায় লড়বে। আর এটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী মাসে।
মাউন্ট অলিভ উচ্চ বিদ্যালয় রোবোটিক্স টিম প্রতিযোগিতায় আলটিমেট অ্যাসেন্ট নামক একটি খেলা খেলেছে। পয়েন্ট সংগ্রহ করে সফলভাবে এগিয়ে গিয়েছিল দলটি। সবাইকে পিছে ফেলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে উঠে আছে।
জানা গেছে, মাউন্ট অলিভ রোবোটিক্স টিম একক ম্যাচের একটিতেও হারা ছাড়া ফাইনালে পেঁৗছেছিল।
টিমটি সম্প্রতি মার্থলি সৈকতে পালমেটো আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে।
মাউন্ট অলিভ রোবোটিক্স টিম ১৩০ জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে মাউন্ট অলিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় টিম/ক্লাব। তাদের লক্ষ?্য হচ্ছে নিজেদের কল্পনাশক্তি প্রসারিত করা, নতুনত্ব অনুপ্রাণিত করা, আত্মবিশ্বাস প্রতিপালন করা, যোগাযোগ এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়ানো।
পৃথিবীর প্রথম বায়োনিক মানব রেক্স, যার শিরায় রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, শরীরে আছে বৃক্ক, অগ্ন্যাশয় ও শ্বাসনালির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ; তার পরও সে মানুষ নয়। এমনই এক বায়োনিক মানবের খবর জানিয়েছে সিনেট।
রেক্সের চেহারা মানুষের মতো এবং এর বিভিন্ন কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন_ অগ্ন্যাশয়, প্লিহা, বৃক্ক ও শ্বাসনালি রয়েছে। এমনকি এর একটি কার্যকর কৃত্রিম রক্তসঞ্চালন প্রণালিও আছে। এটি লম্বায় সাড়ে ৬ ফুট এবং এর দাম প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
একদল রোবট গবেষক 'হাউ টু বিল্ড এ বায়োনিক ম্যান' শীর্ষক টেলিভিশন প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করার সময় রেক্সকে তৈরি করেন। তারা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের সীমারেখা যাচাই করে দেখা। তারা দেখাতে চেয়েছেন, কীভাবে এখন আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে মানুষের আসল অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে মানুষেরই তৈরি কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
গবেষকদের একজন, জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী বারটোল্ট মেয়ার বলেন, 'আমার ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি পছন্দ ন্যানোপার্টিকল দিয়ে তৈরি এর কৃত্রিম রক্ত, যা আসল রক্তের মতোই অক্সিজেনকে সঙ্কুচিত করতে সক্ষম। কিন্তু এটি তো আসল রক্ত নয়, এগুলো হচ্ছে ন্যানোপার্টিকল।'
এ ছাড়া মেয়ার কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়েও বেশ আশাবাদী। ভবিষ্যতে হয়তো আর আসল কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হবে না।
রেক্সকে এ মুহূর্তে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে 'হাউ মাচ অব ইউ ক্যান বি রিবিল্ট?' শীর্ষক প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। এ প্রদর্শনী মার্চের ১১ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
আমেরিকা ভবিষ্যতে আগ্রাসী যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রোবট সেনা তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। ভার্জিনিয়ার অঙ্গরাজ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা বা ডিএআরপিএর আলিংটন সম্মেলন কক্ষে গত বুধবার থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ডিএআরপিএ রোবটিক চ্যালেঞ্জ বা ডিআরসি নামের এ প্রতিযোগিতায় মানুষের জন্য বিপজ্জনক পরিবেশে রোবট কতটা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করতে পারে তা পরীক্ষা করা হবে।
রোবটের নকশা তৈরি ও নির্মাণের সঙ্গে জড়িত মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সহায়তা করার জন্য এসব রোবট তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য সামরিক ক্ষেত্রে এসব রোবটের ব্যবহার প্রসঙ্গে তারা মুখ খোলেননি।
ডিআরসি প্রতিযোগিতার চারটি ক্ষেত্র রয়েছে। বি ও সি ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করছেন তারা অ্যাটলাস নামের রোবটের রূপান্তরিত সংস্করণ ব্যবহার করছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মধ্যে এসব রোবটকে সত্যিকার দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কাজে নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ডিএআরপিএর তৈরি অ্যাটলাস রোবটের একটি সংস্করণ যে কোনো বাধা ডিঙিয়ে যেতে বা এড়িয়ে চলতে পারে। এ ছাড়া এ রোবট কিছু কিছু পরিস্থিতিতে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
প্রাকৃতিক বা মানুষের তৈরি দুর্যোগ পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে রোবটের ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই ডিআরসির উদ্দেশ্য_ এ কথা বলেছেন, ডিএআরপিএর প্রকল্প পরিচালক গিল প্রাট।
রোবট খাতে ২০১৩ সালের জন্য ডিএআরপিএর বাজেট বরাদ্দ ২৮০ কোটি ডলার। এ থেকে সেনাদের সহযোগী রোবট নির্মাণে ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা হবে। - See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=19-06-2013&feature=yes&type=single&pub_no=511&cat_id=3&menu_id=66&news_type_id=1&index=0#sthash.zKHwRK4a.dpuf
রোবো-ফ্লাই বা যান্ত্রিক মাছি বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে রোবটিক্স নিয়ে গবেষণায় আরো একধাপ এগিয়ে গেছেন তারা। বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, মার্কিন বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন নতুন এক রোবো-ফ্লাই বা যান্ত্রিক মাছি, যা উড়তে পারে আসল মাছির মতোই।
যান্ত্রিক মাছিটি বানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাদের দলনেতা ড. কেভিন মা দাবি করেছেন, উড়তে সক্ষম রোবটগুলোর মধ্যে তাদের বানানো রোবটটিই সবচেয়ে ছোট।
কার্বন ফাইবার দিয়ে যান্ত্রিক মাছিটি বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রোবো-ফ্লাইয়ের ডানায় ওড়ার শক্তি জোগায় শক্তিশালী 'ইলেকট্রনিক মাসল'। আসল মাছির মতো দ্রুতগতির রোবো-ফ্লাই, সঙ্কীর্ণ জায়গা দিয়ে এঁকেবেঁকে উড়ে যাওয়া বা আক্রমণকারীকে ফাঁকি দেয়ার মতো সবই করতে পারে এটি।
আসল মাছির মতোই প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১২০ বার ডানা ঝাপটাতে পারে রোবো-ফ্লাই। নমনীয় ডানাগুলো বানাতে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন বিশেষ ধরনের 'পিয়েজোইলেকট্রিক' উপাদান। বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেই বার বার সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হয় ওই উপাদানটি। বার বার বিদ্যুৎতরঙ্গ প্রবাহ বন্ধ ও চালু করার মাধ্যমে রোবো-ফ্লাইয়ের ডানা ঝাপটানোর গতি বাড়াতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা।
মাছির মতো পোকাগুলো ঠিক কীভাবে ওড়ে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পেতেই রোবটটি বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর উদ্ধারকাজেও এ রোবো-ফ্লাই ব্যবহার করা যাবে, এমনটাই মনে করছেন তারা।
প্রেমিকার অভাবে যারা নিঃসঙ্গ রাত পার করছেন তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন রোবট নির্মাতারা। মানুষের জন্য রোমান্টিক সহচর হিসেবে জাপানি উদ্ভাবকরা জিমিনিয়ড এফ নামে একটি 'মহিলা' রোবট তৈরি করেছেন যা নাচতে, চক্ষু যোগাযোগ প্রতিক্রিয়া করতে এবং শরীরের ভাষা শনাক্ত করতে পারে।
রোবটটি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল রোবোটিক্স প্রকৌশলী তৈরি করেছেন। জিমিনিয়ড এফ রোবটটি ইউরেশীয় মহিলাদের মতো দেখায়, মেয়েলি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, বাদামি চুল রয়েছে।
এ প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক হিরোসি ইসগুরো বলেন, জাপান সংস্কৃতির সঙ্গে পাশ্চাত্য সমাজের পার্থক্য তুলনা করে জাপানি পুরুষের অনেকেই রোমান্সের কৃত্রিম সংস্করণের সঙ্গে প্রেমে পড়তে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক হিরোসি ইসগুরো আরো বলেন, জিমিনিয়ড এফ তৈরির প্রধান কারণ হলো মানবজাতির দৌড় প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানা।
মানুষের অনুকরণে রোবট তৈরিকে অনেকেই ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে পারেন। এ কারণে এ গবেষক দল জাপানের একটি প্রতিপাদ্য বাক্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তা হলো_ 'আমরা বিশ্বাস করি যে সবকিছুর একটা আত্মা আছে এবং তাই আমরা মানুষের মতো রোবট তৈরি করতে বিব্রতবোধ করি না।'
তিনি আরো বলেন, 'মানুষের একটি অনুলিপি তৈরি করে, সত্যিই আমি মনে করি আমরা মানুষ বুঝতে পারে, সুতরাং আমাদের বোঝা প্রয়োজন মানুষের উপমা কী, মানুষের আচরণ কেমন, মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন।'
মিড আটলান্টিক আঞ্চলিক এফআইআরএসটি রোবোটিক্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে মাউন্ট অলিভ উচ্চ বিদ্যালয় রোবোটিক্স টিম, যারা এমওআরটি হিসেবে পরিচিত। খবর ডেইলি রেকর্ড ডটকম।
জানা গেছে, এ রোবোটিক্স প্রতিযোগিতায় নিউ জার্সির ৩৬টিরও বেশি উচ্চ বিদ্যালয় দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। পরবর্তী প্রতিযোগিতায় নিউ জার্সি ও পেনসিলভানিয়ার ৬ জেলা মিড আটলান্টিক জেলা প্রতিযোগিতায় লড়বে। আর এটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী মাসে।
মাউন্ট অলিভ উচ্চ বিদ্যালয় রোবোটিক্স টিম প্রতিযোগিতায় আলটিমেট অ্যাসেন্ট নামক একটি খেলা খেলেছে। পয়েন্ট সংগ্রহ করে সফলভাবে এগিয়ে গিয়েছিল দলটি। সবাইকে পিছে ফেলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে উঠে আছে।
জানা গেছে, মাউন্ট অলিভ রোবোটিক্স টিম একক ম্যাচের একটিতেও হারা ছাড়া ফাইনালে পেঁৗছেছিল।
টিমটি সম্প্রতি মার্থলি সৈকতে পালমেটো আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে।
মাউন্ট অলিভ রোবোটিক্স টিম ১৩০ জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে মাউন্ট অলিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় টিম/ক্লাব। তাদের লক্ষ?্য হচ্ছে নিজেদের কল্পনাশক্তি প্রসারিত করা, নতুনত্ব অনুপ্রাণিত করা, আত্মবিশ্বাস প্রতিপালন করা, যোগাযোগ এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়ানো।
পৃথিবীর প্রথম বায়োনিক মানব রেক্স, যার শিরায় রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, শরীরে আছে বৃক্ক, অগ্ন্যাশয় ও শ্বাসনালির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ; তার পরও সে মানুষ নয়। এমনই এক বায়োনিক মানবের খবর জানিয়েছে সিনেট।
রেক্সের চেহারা মানুষের মতো এবং এর বিভিন্ন কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন_ অগ্ন্যাশয়, প্লিহা, বৃক্ক ও শ্বাসনালি রয়েছে। এমনকি এর একটি কার্যকর কৃত্রিম রক্তসঞ্চালন প্রণালিও আছে। এটি লম্বায় সাড়ে ৬ ফুট এবং এর দাম প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
একদল রোবট গবেষক 'হাউ টু বিল্ড এ বায়োনিক ম্যান' শীর্ষক টেলিভিশন প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করার সময় রেক্সকে তৈরি করেন। তারা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানের সীমারেখা যাচাই করে দেখা। তারা দেখাতে চেয়েছেন, কীভাবে এখন আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে মানুষের আসল অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে মানুষেরই তৈরি কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
গবেষকদের একজন, জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী বারটোল্ট মেয়ার বলেন, 'আমার ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি পছন্দ ন্যানোপার্টিকল দিয়ে তৈরি এর কৃত্রিম রক্ত, যা আসল রক্তের মতোই অক্সিজেনকে সঙ্কুচিত করতে সক্ষম। কিন্তু এটি তো আসল রক্ত নয়, এগুলো হচ্ছে ন্যানোপার্টিকল।'
এ ছাড়া মেয়ার কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়েও বেশ আশাবাদী। ভবিষ্যতে হয়তো আর আসল কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হবে না।
রেক্সকে এ মুহূর্তে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে 'হাউ মাচ অব ইউ ক্যান বি রিবিল্ট?' শীর্ষক প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। এ প্রদর্শনী মার্চের ১১ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
আমেরিকা ভবিষ্যতে আগ্রাসী যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রোবট সেনা তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। ভার্জিনিয়ার অঙ্গরাজ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা বা ডিএআরপিএর আলিংটন সম্মেলন কক্ষে গত বুধবার থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ডিএআরপিএ রোবটিক চ্যালেঞ্জ বা ডিআরসি নামের এ প্রতিযোগিতায় মানুষের জন্য বিপজ্জনক পরিবেশে রোবট কতটা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করতে পারে তা পরীক্ষা করা হবে।
রোবটের নকশা তৈরি ও নির্মাণের সঙ্গে জড়িত মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সহায়তা করার জন্য এসব রোবট তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য সামরিক ক্ষেত্রে এসব রোবটের ব্যবহার প্রসঙ্গে তারা মুখ খোলেননি।
ডিআরসি প্রতিযোগিতার চারটি ক্ষেত্র রয়েছে। বি ও সি ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করছেন তারা অ্যাটলাস নামের রোবটের রূপান্তরিত সংস্করণ ব্যবহার করছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মধ্যে এসব রোবটকে সত্যিকার দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কাজে নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ডিএআরপিএর তৈরি অ্যাটলাস রোবটের একটি সংস্করণ যে কোনো বাধা ডিঙিয়ে যেতে বা এড়িয়ে চলতে পারে। এ ছাড়া এ রোবট কিছু কিছু পরিস্থিতিতে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
প্রাকৃতিক বা মানুষের তৈরি দুর্যোগ পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে রোবটের ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই ডিআরসির উদ্দেশ্য_ এ কথা বলেছেন, ডিএআরপিএর প্রকল্প পরিচালক গিল প্রাট।
রোবট খাতে ২০১৩ সালের জন্য ডিএআরপিএর বাজেট বরাদ্দ ২৮০ কোটি ডলার। এ থেকে সেনাদের সহযোগী রোবট নির্মাণে ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা হবে। - See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=19-06-2013&feature=yes&type=single&pub_no=511&cat_id=3&menu_id=66&news_type_id=1&index=0#sthash.zKHwRK4a.dpuf
No comments:
Post a Comment