Friday, September 27, 2013

“ডিজিটাল বাংলাদেশ” ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কে আধুণিক ধারণা

“ডিজিটাল বাংলাদেশ” শব্দটি বর্তমান বাংলাদেশেরে প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটা নতুন কল্পনার জগৎ সৃষ্টি করে। কারো কাছে এর অর্থ দু বেলা দু মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা আবার কারো কাছে এর অর্থ একটি মাইক্রোপ্রসেসর, যার উপর লেখা Made in Bangladesh। অনেকেই বলে থাকেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষেই “ডিজিটাল বাংলাদেশ” শব্দটির অবতারণা, আবার অনেকেই স্বপ্ন দেখেন টেকনোলজিতে সমৃদ্ধ ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত একটা সুখী বাংলাদেশের।

ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কে আধুণিক ধারণা

বর্তমান বাংলাদেশে কোচিং সেন্টার এবং ট্রেনিং সেন্টারের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রচলিত। আধুণিক বিশ্বে বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন কোন একটা প্রযুক্তিগত বিষয় ভালভাবে এবং যত্ন সহকারে আয়ত্ব করার অন্যতম মাধ্যম ট্রেনিং সেন্টার, যেখানে পর্যাপ্ত আধুনিক যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রত্যক্ষ ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। যদিও সাধারণ অর্থে ট্রেনিং সেন্টার বলতে আধুণিক ল্যাব সুবিধা সমৃদ্ধ কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়, তারপরও বর্তমান সময়ে এ ধারণাটির পরিবর্তন ঘটেছে। ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে অনলাইন ভিত্তিক ট্রেনিং প্রতিষ্টান ধারণাটিও বাস্তবে পরিণত

বাংলাদেশে ট্রেনিং সেন্টার সমূহের বর্তমান প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে ট্রেনিং সেন্টার এবং কোচিং সেন্টারের কোন অভাব নেই। যে কোন শহরের দিকে দু পা বাড়ালেই চোঁখে পড়বে আকর্ষণীয় ব্যারার আর পোস্টারে মোরানো একটা উৎসব মুখর নগরী, যার পুরো কৃতিত্বই ট্রেনিং সেন্টার, কোচিং সেন্টার আর ক্লিনিকের। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অতিদ্রুত জনপ্রিতার শিখরে পৌছে গেছে ট্রেনিং সেন্টার আর কোচিং সেন্টার গুলো। অনেকেই ভাল ফলাফল পাবার আশায় সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। এই ধরুন কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কথাই; সমাজ সেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার সহ বেশ কিছু সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এন জি ও সহ অসংখ্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠান স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান সমূহের সিংহ ভাগই হয়তবা আপনার জন্য নয়।

আসলে বর্তমান প্রেক্ষাপট এমন যে কম বেশি আমাদের নিকট আত্নীয় বা বন্ধু বান্ধবদের কম্পিউটার রয়েছে। তাই আপনার কম্পিউটারের মাউস হাতে নেয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি কম্পিউটার কেনার পর নিকট আত্নীয় বা বন্ধুদের কাছ থেকে হেল্প নিয়ে এবং কিছু বই পত্র এবং সিডি থেকে অফিস প্রোগ্রাম গুলোর পাশাপাশি, ফটোশপ এবং ইন্টারনেট সম্পর্কিত সাধারণ বিষয়গুলো আয়ত্ব করতে পারেন।

আসলে যা কিছু বললাম আপনি যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানে তিন মাস মেয়াদী কোন সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি হন এর থেকে বেশি কিছু হয়তবা শিখতে পারবেন না, আর দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের কথা আজ নাই বা বললাম।

শুধু কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদাহরণ দিলাম, যে কোন টেকনোলজি বিষয়ক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখনই সময় আমাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার এবং উপযুক্ত সমাধান খুজেঁ বের করবার।

………………………………………………………………………………..

আজ এ পর্যন্তই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল ।

হয়েছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে উন্নত জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং পরিকল্পনাকে ছড়িয়ে দেয়ার।

No comments:

Post a Comment